ফসলি জমিতে ভাটা গড়ে তোলার এই চিত্র শুধু সাতক্ষীরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অনেক স্থানেই ইটভাটা গড়ে তোলার জন্য ফসলি জমি ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতি বছর কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ভাটা। ভাটার আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে ত্রি-ফসলি জমি।
সাতক্ষীরায় ৭০ ভাগ ইটভাটার ছাড়পত্র নেই, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে পুড়ছে কাঠ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। এর প্রভাবে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩-তে বলা হয়েছে, ইটভাটায় ফসলি জমির ওপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি হবে দুই বছর কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি হবে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। বাস্তবে আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা করছে না কেউ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরাই আইন লঙ্ঘন করে ইটভাট স্থাপন করছে। রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা গড়ে তোলা হবে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো বন্ধ করা দরকার। নইলে দেশে ভূমিক্ষয় বাড়বে, পাশাপাশি আবাদি জমি সংকট দেখা দেবে।
আমরা বলতে চাই, কৃষি জমি থেকে ইটভাটাগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ভাটা গড়ে তোলার জন্য এর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না সেটা আমাদের আশা।
স্বাআলো/এস