সম্পাদকীয়

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোরদের মৃত্যু ঘটেই যাচ্ছে

| March 7, 2024

সম্পাদকীয়: সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনিতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ন ঘোষ (১৯) ও উইলিয়াম ঘোষ (১৮) নামে দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।

৬ মার্চ আশাশুনি উপজেলার ধাপুয়া ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরো এক শিক্ষার্থী। আহত কলেজ শিক্ষার্থীকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত দুই শিক্ষার্থীরা হলেন, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার আমানিয়া গ্রামে বাসিন্দা।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে কিশোরদের হাতে বাইক তুলে দেয়া, দুই বা ততোধিক আরোহী, অস্বাভাবিক গতি, সাবধানতার সাথে ওভারটেকিং না করা, চালানো অবস্থায় হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা, কাঁধে কান লাগিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলা, ট্রাফিক আইন মান্য না করা, প্রশিক্ষণ না থাকা, অন্যমনস্ক হওয়া, হাট-বাজারে গতি না কমানো, হেলমেট ব্যবহার না করা উল্লেখযোগ্য।

বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে দুর্ঘটনার ঘটনা বেড়েছে। এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। কিশোর বয়সীদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে বলতে হবে। পাশাপাশি কিশোর গ্যাংয়ের কারণে নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা যতোদূর জানি তরুণরা যখন এই যান হাতে পায় তখন তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চালাতে গিয়ে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় পড়ে। জন্ম হয় বিয়গান্ত ঘটনার।

অভিভাবক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে এই বেপরোয় গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া দরকার। বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে গেলে এসব ঘটনা ঠেকানো যাবে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যেনো একটা ফ্রি স্টাইলের দেশে যানবাহনগুলো চলাচল করছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দেশটাকে সঠিক পথে চলতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। সড়কে মৃত্যু রোধ করতে হলে আইনের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

দেশটা নিরীহ মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি হবে এটা সবার কাম্য। অপরাধীদের অভয়ারণ্য হোক তা কেউ চায় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হিংস্র হায়েনার মতো দুর্বৃত্তরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আর নিরীহ মানুষ তাদের ভয়ে আতঙ্কিত জীবনযাপন করছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo