সম্পাদকীয়

নকল স্যালাইন প্রস্তুতকারীদের কঠোর শাস্তি চাই

| May 20, 2024

সম্পাদকীয়: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তদারকি করে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ১৯ মে আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া বাজারে স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

এসময় ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এনএর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ৫০০প্যাকেট নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেয়া তথ্যমতে, নকল ওরস্যালাইনের সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে তিন হাজার প্যাকেট নকল এসএসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়।

নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এসময় প্রায় তিন হাজার ৫০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন জব্দ করে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। জীবন বাঁচানোর জন্য স্যালাইন। সেই স্যালাইন নামে নকল করে বাজারজাত করা হচ্ছে। অর্থের লোভে মানুষ কত নিচে নামতে পারে, অর্থের জন্য জীবন তাদের কাছে একটি অতি তুচ্ছ। প্রচন্ড চাপপ্রবাহে মানুষের জীবন যখন ওষ্ঠাগত, পানি শূন্যতা, লবণ ঘাটতি প্রভৃতি মারীরিক সমস্যা মোকাবিলায় স্যালাইন এসব ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য বাজারে স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে।

এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে অর্থ পিশাচ মানুষ যারা তারা নকল স্যালাইন তৈরি করে বাজারজাত করছে। এই নকল স্যালাইন খেয়ে
মানুষের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ যে এই সমস্যায় পড়েনি তা ঠিক নয়। যারা জনস্বাস্থ্য নিয়ে চিনিমিনি খেলে তাদের ছাড় দেয়া উচিত নয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অপরাধীদের জরিমানা করেছে। এর চেয়েও কোন বড় ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখতে হবে।

স্বাআলো/এস

Debu Mallick