জাকের আলী অনিকের পরিবর্তে লিটন দাশ ফিরলেও তাকে ওপেনিংয়ে পাঠায়নি ম্যানেজমেন্ট। তানজীদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। দুইজনে শুরু থেকে খেলতে থাকেন আক্রমণাত্মক। পাওয়ার প্লে’তে আসে ৪৮ রান। যা চলমান সিরিজে সর্বোচ্চ।
নিজের দ্বিতীয় সিরিজে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তানজীদ। ৩৯ বলে দেখা পান ফিফটির।। তার ৪২ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ে।
অন্য প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে গেছেন সৌম্য। তিনি ২৮ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল। দুইজনের জুটিতে টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে চতুর্থ-বারের মতো শতরান করে বাংলাদেশ।
উইকেট বিবেচনায় টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সবচেয়ে বড় জয় এসেছে ৯ উইকেটে। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ ও ১৫.৫ ওভারে ৯ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে। এবার সেটিকে টপকে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ হয় যুক্তরাষ্ট্রের। দুই ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গির-আন্দ্রেইস গিউজের জুটিতে শুরুতেই ফুলে ফেঁপে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরবোর্ড। পাঁচ ওভার না যেতেই দলটির রান চল্লিশ পেরোয়। সাকিব আল হাসানকে মারতে গিউজের আউটে ভাঙে জুটি। এরপর নাটাই চলে আসে বাংলাদেশের হাতে।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়তে থাকে উইকেট, কমতে থাকে রানের গতি। মোস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ের সামনে কোনোমতে একশ পার করে স্বাগতিক শিবির। মোস্তাফিজ মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন ছয় উইকেট। বাংলাদেশের আর কোনো বোলার টি-টোয়েন্টিতে এমন কীর্তি গড়তে পারেননি।
১৫ বলে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন গিউজ। তাকে আউট করে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৭০০ উইকেট ও ১৪ হাজার রানের কীর্তি গড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। আর কোনো ব্যাটার বিশের বেশি রান করতে পারেননি।
১৮ রান করে আসে শায়ান জাহাঙ্গির-কোরি অ্যান্ডারসনের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ১২ রান করেন শ্যাডলি। বোলিংয়ে সব আলো কেড়ে নেন মোস্তাফিজ একাই। একটি করে উইকেট নেন সাকিব, তানজীম হাসান ও রিশাদ হোসেন।
স্বাআলো/এস