মনোবিদরা বলেন, শরীরের অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগকেও একটি অসুখ হিসাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং চিকিৎসা নেয়া উচিত। কারণ ভালো থাকা মানে শুধুই শারীরিকভাবে ভালো থাকা নয়, মানসিকভাবেও ভালো থাকাও ভালো থাকার অংশ।
যারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো থাকেন তারা প্রতিদিনকার ছোট ছোট কাজের ভেতরে আনন্দ খুঁজে পান।
কাজের ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন। এরা অন্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেন। তাই মানসিকভাবে ভালো থাকার গুরুত্ব অনেক।
জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো সময় মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিনিয়র সাইকোলজিস্ট ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট সাদিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের যখন শারীরিক অসুস্থতা হয় তখন সুস্থতার জন্য আমরা শরীরের যত্ন নেই, ডাক্তারের পরামর্শ নেই এবং ওষুধ খাই। একই রকমভাবে মনেরও যত্ন প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, মন ভালো রাখতে কাছের মানুষের সাথে কথা বলুন, সময় কাটান, আপনার ভালো লাগে এমন কিছু করুন। প্রাণ খুলে কথা বলুন এবং মন দিয়ে অন্যের কথা শুনুন। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাদানকারীর পরামর্শ গ্রহণ করুন।
কখন বুঝবেন মানসিক স্বাস্থ্য সেবাদানকারীর পরামর্শ নিতে হবে মানসিকভাবে অসুস্থ হলে একজন রোগীর আচরণে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এগুলো হচ্ছে:
১. অল্পতে রেগে যায়।
২. নিজেকে গুটিয়ে রাখে।
৩. সামাজিক কাজকর্ম থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
৪. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, উত্তেজিত হয়ে পড়ার প্রবণতা থাকে।
৫. নিজে নিজে কথা বলা- ইত্যাদি মানসিক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীর অনেক সময় খাবারে অনীহা, হজমে সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা, শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা অনুভব করে থাকেন।
মানসিক স্বাস্থ্য কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
স্বাআলো/এস