শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সৈয়দপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ আজগরের ফুফাতো ভাই বিএনপি কর্মী বিপুল হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় গ্রামের ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের সাথে বিএনপি কর্মী ওলিয়ার রহমান এবং গুলিবিদ্ধ আজগরের পিতা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্ক হয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের পন্ডিত মোড়ে ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের চাচাতো ভাই (আলতাফের ভাতিজা) শিপন বিপুলকে হুমকি দেয় ও আব্বাস-ওলিয়ারদের খুঁজতে থাকে। তখন তিনি পন্ডিত মোড় থেকে চলে আসেন।
বিপুল হোসেন আরো বলেন, পরে তারাবির নামাজের আগ দিয়ে গ্রামের মিলনের মুদি দোকানের সামনে মামাতো ভাই আজগরসহ অন্যদের সাথে কথা বলছিলাম। এসময় আলতাফ হোসেনের আরেক ভাতিজা ইমরান পিস্তল উঁচিয়ে আমার (বিপুল) দিকে গুলি ছোড়ে। আমি নিজেকে সরিয়ে নিতে পারি। সেই গুলি পাশে থাকা আজগরের পায়ে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা ইমরানকে আটক করে মারপিট করে এবং পুলিশে খবর দেই। তবে এরইমধ্যে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ইমরানকে চিকিৎসা দেয়ার নাম করে পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আজগর কে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ও এক রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসাসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।
চৌগাছা হাসপাতালে আহত আজগর জানান, সেখানে আগে কিছু ঝামেলা হয়। আমি বাড়ি থেকে ওখানে গেলে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইমরানের গুলি এসে আমার পায়ে বিদ্ধ হয়। আমি আহত হয়ে পড়ে যায়।’ হাসপাতালের ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেছেন পায়ে এখনও গুলিবিদ্ধ রয়েছে। অপারেশন করে বের করার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেছেন।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলি বের করার জন্য ডাক্তার তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। ভুক্তভোগীর বাবা তার সাথে যশোর হাসপাতালে গেছেন। তিনি ফিরে এজহার দায়ের করবেন।
ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
স্বাআলো/এস