যশোর শহরের পুলেরহাট এলাকায় অবস্থিত আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুক্তেশ্বরী নদীর প্রায় ৬১ শতক জমি দখলের বিষয়টি পরিবেশবাদীদের ধারাবাহিক আন্দোলন ও চাপের মুখে অবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে নোটিশ পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নদীর ওপর নির্মিত সেতু ও সীমানা প্রাচীর নিজ খরচে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, পরিবেশবাদীদের টানা কর্মসূচি, মানববন্ধন ও মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি নদীর খাস জমিতে প্রায় ৬১ শতক জায়গা দখল করে একটি কংক্রিটের সেতু ও প্রাচীর নির্মাণ করে, যা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এতে নদীটি কার্যত মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে এবং শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, ২০০৫ সালে তারা যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করেছে, তার কোনো সরকারি অনুমতি ছিল না। বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং সেতু ও প্রাচীর অপসারণে সম্মতি দিয়েছে।
পাউবো’র যশোর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন,“আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা স্বেচ্ছায় স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। পাউবো’র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।”
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, “এটি আমাদের আন্দোলনের বিজয়। যদি সব দখলদারের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে মুক্তেশ্বরী নদী আবার প্রাণ ফিরে পাবে।”