নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবদহসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান এবং নদ-নদী রক্ষা ও দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে পাঁচটি কমিটি যৌথভাবে কুষ্টিয়া থেকে যশোর পর্যন্ত একযোগে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
যৌথ প্রতিনিধি সভাটি আয়োজন করে মুক্তেশরী নদ বাঁচাও আন্দোলন, ভৈরব নদ বাঁচাও আন্দোলন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি, কপোতাক্ষ নদ বাঁচাও আন্দোলন ও চিত্রা বাঁচাও আন্দোলন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিৎ বাওয়ালী।
উপস্থিত ছিলেন- ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপষ্টো ইকবাল কবির জাহি, গাজী আব্দুল হামিদ, জিল্লুর রহমান ভিটু, আব্দুর রহিম, তসলিম উর রহমান, আব্দুর রহমান, আব্দুস শুকুর, মহিরউদ্দিন বিশ্বাস, তারাপদ রায়, প্রফেসর ইসরারুল হক, আহাসান উল্লাহ ময়না, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, ইলাদাদ খান, শিবপদ বিশ্বাস, অনিল বিশ্বাস, শেখর বিশ্বাস, সাহবুদ্দিন বাটুল, আসাদুজ্জামান পিল্টু ও আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিলম্বে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) চালু করতে হবে এবং বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সকল সুইচ গেট উন্মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি ভৈরব, কপোতাক্ষ, চিত্রা, মুক্তেশ্বরীসহ সকল নদ-নদী খনন করতে হবে এবং উজানে নদী সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ভৈরব নদকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান নদী হিসেবে সচল ও সংরক্ষণ করতে হবে। মুক্তেশ্বরী নদীর এমন অংশ, যা বর্তমানে একটি হাসপাতালের নামে দখল হয়ে আছে, তা অবিলম্বে খলমুক্ত করতে হবে। ভৈরব, কপোতাক্ষ, চিত্রাসহ সকল ন-নদীর দখলদাররে উচ্ছে করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় আমডাঙা খাল প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলা হয়, জলাবদ্ধতা নিরসনে এ প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলার কারণেই বছরের পর বছর ভবদহ অঞ্চলের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। কৃষি, বাসস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২২ এপ্রিল পানি সম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে যশোরের পুলেরহাট থেকে দড়াটানা পর্যন্ত একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে থাকবে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ এবং জনমত গঠনমূলক কার্যক্রম।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দাবি আদায়ের জন্য জনগণকে সংগঠিত করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
স্বাআলো/এস