আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের জেরুজালেমের কাছে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ এক দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, পুড়িয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার একর বনাঞ্চল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে আগুনের তীব্রতা আরও বেড়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার ফাইটারদের ১৬৩ জনের একটি দল স্থলভাগে এবং আকাশ থেকে ১২টি বিমান নিরলসভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি, বরং জেরুজালেমের নিকটবর্তী একাধিক নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লাটরান, নেভে শালোম এবং এসতাওল এলাকায় আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এছাড়া মেভো হারোন, বার্মা রোডের বেইত মেইর, মেসিলাত জিওন এবং শাহার গাহাই গ্যাস স্টেশনের কাছেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত, আক্রমণ জোরদারের ঘোষণা নেতানিয়াহুর
দাবানলের কারণে কয়েক ডজন মানুষ আহত হলেও কারো অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৯০০ একর (হাজার হাজার একর) এলাকা আগুনে পুড়ে গেছে।
সন্ধ্যায় এস্তাওল এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেরুজালেম জেলার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই আগুন সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানলে পরিণত হতে পারে। তিনি জানান, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বেইত শেমেশের কাছে মেসিলাত সিয়োন এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং প্রবল বাতাসের কারণে তা দ্রুত পশ্চিম দিকে ছড়িয়ে পড়ে, পরে আবার দিক পরিবর্তন করে পূর্ব দিকে এগোতে থাকে।
ইসরায়েলি হামলায় আরো অর্ধ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
ফ্রিডম্যান আরো সতর্ক করে বলেন, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে, যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কী কারণে এই বিধ্বংসী আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আমরা এখনো আগুনের কারণ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করিনি।
তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত সন্দেহ করছে, কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
স্বাআলো/এস