Uncategorized

কাশ্মীর হামলা ঘিরে উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তেও কড়া নজরদারি ভারতের

| May 1, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আকাশসীমা বন্ধ এবং সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হুমকির মধ্যে এই উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্তের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংলগ্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং ওয়াকফ আইনবিরোধী আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ঘটনার উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনাগুলোর পেছনে সীমান্তের দুষ্কৃতকারীদের সংশ্লিষ্টতা ছিল। ওই দাঙ্গায় অন্তত তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছিলেন।

পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে উড়ে গেলো ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে নাকি দাবি করা হয়েছে যে, ওই সহিংসতা উসকে দিতে বাংলাদেশি উপদ্রবকারীরা জড়িত ছিলো। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ বা ভারতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে।

এদিকে, পেহেলগাম হামলার পর ভারতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে পাকিস্তানও চরম উদ্বেগে রয়েছে। ইসলামাবাদ এরই মধ্যে সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে এবং দেশটির নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ভারত দাবি করছে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে: আকাশসীমা বন্ধ করলো ভারত, যুদ্ধের হুঁশিয়ারি

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার গত মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে যে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত আকারে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। এর আগের দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন।

এই পরিস্থিতিতে ভারত শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিম (পাকিস্তান) সীমান্তই নয়, পূর্বাঞ্চলীয় (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) সীমান্ত পরিস্থিতিও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছে। যেকোনো নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনীর তৎপরতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo