খুলনা ব্যুরো
দীর্ঘ ৭৪ দিন বন্ধ থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রবিবার (৪ মে) থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অচলাবস্থা কাটেনি। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা।
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফিরব না। শনিবার (৩ মে) আমরা আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে জানিয়েছি।
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি: ১৬ ঘণ্টা পার, আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা, তাকিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছিলো।
শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন এবং পরবর্তীতে আমরণ অনশনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে গত ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হযরত আলীকে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।
কিন্তু শিক্ষক সমিতির ক্লাস বর্জনের অনড় অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়া নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের ক্লাস চালুর প্রচেষ্টা এবং শিক্ষকদের দাবিতে অনড় থাকায় কুয়েটের অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
স্বাআলো/এস