শনিবার (৩ মে) পরিচালিত এক উচ্ছেদ অভিযানের সময় এই ঘটনা ঘটে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জিল্লুর রহমান এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে পাটগ্রাম পৌর শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় ফুটপাত ও সড়কের উপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ইউএনওকে হেনস্থা, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বাঁধা!
অভিযানের সময় কিছু দোকানি আদালতের কার্যক্রমে বাধা দেয় এবং সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এসময় আদালতের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাজুল ইসলাম (৩৩) নামের এক যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। তাজুল ইসলাম পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং সরকারি কর্মচারীর উপর আক্রমণের দায়ে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৯ ধারায় আটক তাজুল ইসলামকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে বিধি মোতাবেক জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, অনেকদিন ধরে পৌরসভার ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট, সিএনজি স্ট্যান্ডসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিলো। এর ফলে রাস্তায় যানজট লেগে থাকতো এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছিলো। রমজানের আগেই তাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছিলো এবং তারা সরে যেতে সম্মতও হয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার সময় কিছু দোকানি আমাদের আনসার সদস্যদের উপর হামলা করে এবং আমার সাথেও অপ্রীতিকর আচরণ করে। সরকারি কাজে বাধা ও হামলার দায়ে একজনকে আটক করে আইন অনুযায়ী দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস