রবিবার (২৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজেকে একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
কারামুক্ত হলেন নায়িকা নুসরাত ফারিয়া
বাঁধন তার পোস্টে লেখেন, ২০২১ সালে যখন তিনি বলিউডের সিনেমা ‘খুফিয়া’-তে কাজ করেন, তখন তাকে একজন গর্বিত ‘র’ (Research and Analysis Wing – ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা) এজেন্ট বলা হয়েছিল। তবে এরপরই ঘটনা মোড় নেয় যখন তাকে সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নিতে বাধা দেয়া হয়।
তিনি জানান, ভারতীয় হাইকমিশন থেকে তার ভিসা একবার নয়, পাঁচবার প্রত্যাখ্যান করা হয়। কারণ হিসেবে তারা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে বাঁধনের একটি ছবি দেখায় এবং এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পরে দেশের কিছু উচ্চপদস্থ বন্ধুর সহায়তায় তিনি এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পেলেও জানতে পারেন যে সিনেমার কোনো এক অভিনেতা এই ভিসা জটিলতার জন্য দায়ী ছিলেন। এই ঘটনার ফলে তার বলিউড ও কলকাতার আরও বেশ কিছু কাজের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি তার পোস্টে জুলাই অভ্যুত্থান সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই সময়ে তাকে প্রথমে সিআইএ (Central Intelligence Agency – যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা) এজেন্ট বলা হয়। অভিযোগ করা হয় যে তিনি ইউএসএইড থেকে টাকা নিয়ে এই অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী। এরপর তাকে জামায়াত কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, কারণ তিনি তার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার করেছিলেন। পর্যায়ক্রমে তাকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যও বলা হয়। সবশেষে, পোস্ট লেখার আগের রাতে আবারও তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলা হয়।
বাঁধন জানান, এর মধ্যেই বর্তমান সরকারে থাকা তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, “টাকা খাইছো?”
হতাশা প্রকাশ করে অভিনেত্রী লেখেন, “কী ধরনের সমাজে বাস করি আমরা। এখানে কেউ দেশকে ভালোবাসে না। এবং মনে করে কেউ দেশকে ভালোবাসে না।” তার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্বাআলো/এস