কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রৌমারী সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে ৩৭ জন নারী-পুরুষকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই ঘটনার পর রৌমারী সীমান্তের বড়াইবাড়ি এলাকায় ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়েছেন নোম্যান্সল্যান্ডে।
বিজিবির বাধায় তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেননি। এই ঘটনায় রৌমারী সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোরে রৌমারীর বড়াইবাড়ি ও ভূরুঙ্গামারীর ৩টি সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব নাগরিককে পুশইন করার চেষ্টা করে বিএসএফ। এর মধ্যে রৌমারী সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক বলে জানা গেছে। তারা সকলেই ভারতের আসাম রাজ্যের বান্দরবান জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী রয়েছেন।
বিজিবির বাধায় এসব ভারতীয় নাগরিক বর্তমানে সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ভারতীয় নাগরিক পুশইন করায় রৌমারী সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পুশইন ঠেকাতে এলাকাবাসীর সহায়তায় বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারত থেকে প্রবেশকালে ২৫ বাংলাদেশি আটক
অপরদিকে ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেয়া ২৩ জন কোন দেশের নাগরিক, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এসব নাগরিক বর্তমানে বিজিবি কেদার, সোনাহাট ও বাবুরহাট ক্যাম্পের হেফাজতে রয়েছে।
জামালপুর ব্যাটালিয়নের-৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট শামসুল হক জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা করলে আমাদের বিজিবি বাধা দেয়। পুশইন করা ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক, তা জানা যায়নি। তারা দুদেশের শূন্যরেখায় আছেন। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। তিনি আরও জানান, কোনো গোলাগুলির ঘটনা না ঘটলেও বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাহাবুব উল হকও ২৩ জন নাগরিককে পুশইন করার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তবে তারাও কোন দেশের নাগরিক, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
সীমান্তে বিএসএফের এই পুশইনের ঘটনায় পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে এবং বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
স্বাআলো/এস