দেশের বাজারে পশুর চামড়ার কম দামের সুযোগে অধিক মুনাফার আশায় চামড়া ভারতে পাচার হওয়া ঠেকাতে এবং সীমান্ত পথে অবৈধ অনুপ্রবেশ (পুশইন) রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
যশোরের শার্শা, বেনাপোল ও চৌগাছা সীমান্ত এলাকায় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে এবং টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) যশোর ব্যাটালিয়ন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি এবং উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম এই সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরের মতো এবারো কোরবানির পশুর চামড়ার দাম অত্যন্ত কম। ব্যবসায়ীরা কেনা দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না এবং সরকারি নির্ধারিত দামেও তেমন সাড়া মিলছে না। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্র বেশি মুনাফার লোভে চামড়া ভারতে পাচার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলো ৩৬ শিশু-কিশোর
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ রুপি এবং ১০ মণ ওজনের চামড়া ৮০০ থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা বাংলাদেশের তুলনায় বেশি লাভজনক।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, যশোরের যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে চামড়া পাচার ও পুশইন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেসব এলাকায় বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- বেনাপোল, গাতীপাড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা, আন্দুলিয়া, হিজলী, মাসিলা, শাহজাতপুর, বর্ণি, পাচ পীরতলা। এছাড়া ২১ বিজিবির আওতাধীন দৌলতপুর, পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, পাঁচভূলট এবং রুদ্রপুর এলাকাতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
যশোর ব্যাটালিয়ন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী এবং উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম মোবাইল ফোনে জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার ও পুশইন রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে কড়া নজরদারি এবং রাতে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনোভাবেই চামড়া পাচার বা অবৈধ অনুপ্রবেশ না হয়। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলেও তারা জানান।
স্বাআলো/এস