দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রকাশ করা হবে। গত ৩১ মে সারা দেশের ৮৭৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় পাঁচ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু অংশ নেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে আসায় এবং অনেকের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী আগ্রহ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এবং আসন্ন ঈদের ছুটির আগে হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় ফলাফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই ১ জুন থেকে ছুটিতে চলে গেছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে ঈদের ছুটির পরেই ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঈদের পরে প্রকাশ করা হবে। ১ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখের বেশি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঈদের পরে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। এরপর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দীর্ঘ আট বছর পর এবারই আবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার জন্য ১ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত ছিল। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে এবং কোনো ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হবে না। পরীক্ষায় পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫।
ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
স্বাআলো/এস
