দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

| June 14, 2025

যুক্তরাজ্যে চারদিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৪ জুন) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১০ জুন যুক্তরাজ্য সফরে যান এবং ১৩ জুন সন্ধ্যায় লন্ডন ত্যাগ করেন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

চার দিনব্যাপী (১০-১৩ জুন) এই সফরকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টার এই যুক্তরাজ্য সফরকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পাঁচটি অর্জনের কথা তুলে ধরেন।

প্রেস সচিবের দাবি অনুযায়ী, এই সফরের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো হলো:

১. রাজা চার্লসের সঙ্গে বৈঠক ও স্বীকৃতি: রাজা চার্লসের কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ এবং ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠক। প্রেস সচিব এটিকে গত বছরের জুলাই মাসের গণজাগরণ এবং এরপর বাংলাদেশের যুগান্তকারী পরিবর্তনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

২. ঐতিহাসিক বৈঠক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতার (সম্ভবত বিরোধী দল) সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক। প্রেস সচিব এটিকে ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য একটি ‘গেম ওভার’ মুহূর্ত বলে দাবি করেছেন।

৩. সম্পদ জব্দ ও বার্তা: যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কর্তৃক এক শীর্ষ ‘হাসিনা-ঘনিষ্ঠ’ ব্যক্তির ১৭০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩২০টি সম্পদ জব্দ। এনসিএ এটিকে সংস্থাটির ইতিহাসে এককভাবে সর্ববৃহৎ সম্পদ জব্দের ঘটনা উল্লেখ করেছে। প্রেস সচিব এটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ উদ্ধার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

৪. বৈশ্বিক সহযোগিতার ভিত্তি: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রিটিশ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তাদের একাধিক বৈঠক, যা ভবিষ্যতে সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপনে সহায়ক হবে বলে জানানো হয়েছে।

৫. রোহিঙ্গা সংকট: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে নতুন আশার আলো দেখা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সফর।

স্বাআলো/এস

 

Shadhin Alo