সিন্ডিকেটের কবলে শার্শার কচুর বাজার: ন্যায্যমূল্য নেই, শঙ্কায় কৃষক

যশোরের শার্শা উপজেলার বাসাবাড়ি বাজারের কচুর বাজার এখন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কৃষকদের ওপর, ন্যায্যমূল্য না পেয়ে তারা লোকসান গুনছেন এবং ভবিষ্যতে কচু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাসাবাড়ি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত কচু প্রতি কেজি ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন খরচ অনুযায়ী এই দাম অত্যন্ত কম এবং এই দামে বিক্রি করে তারা লোকসানের মুখে পড়ছেন। তাদের অভিযোগ, বাজারের এক শ্রেণির কচু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে রেখেছে।
ঝিকরগাছা উপজেলার খাসখালী গ্রামের কৃষক রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কচু এবার মানুষ বেশি করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। বর্তমানে বাজারে যে দাম তাতে আমরা কৃষকরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি। দাম না পাওয়ার কারণ বাজারের কচু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কৃষকদেরকে লোকসানের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
যশোরের বৃহৎ মুখি কচুর হাট বাসাবাড়ি, দামে কৃষকের মুখে হাসি
আরেক কৃষক শাহজাহান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান কচুর বাজার সিন্ডিকেটদের দখলে। এজন্য আমরা ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কচু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা। কিন্তু এতে গাড়ি ভাড়া ও কচু উঠানোসহ খরচ হচ্ছে ১৫ টাকা। এতে আমরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি। এর ওপর সার ও কীটনাশকের বেশি দামের কারণেও ক্ষতি হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অন্য কৃষকরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কচু চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। লোকসানের মুখে অনেক কৃষকই নিরুৎসাহিত হয়ে আগামী মৌসুমে কচু চাষ বন্ধ করে দিতে পারেন।
এই অবস্থায় ভুক্তভোগী কৃষকরা শার্শা উপজেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তার কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, এই সিন্ডিকেটের কবল থেকে কৃষকদের বাঁচানো হোক, যাতে তারা ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারেন। স্থানীয় অর্থনীতি ও কৃষিখাতের জন্য এই সমস্যার দ্রুত সমাধান জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাআলো/এস