লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মালদা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলাইরহাট-লোহাকুচি সংযোগ সড়ক। ইতোমধ্যে সড়কটির অর্ধেকের বেশি অংশ নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এতে স্থানীয়দের যাতায়াতে সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক দুর্ভোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কার্যক্রমেও দেখা দিয়েছে বিঘ্ন।
সড়কটি বিলীন হওয়ায় বিকল্প রাস্তায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী লোকদের। গত বছরের ভাঙনে বগুড়াপাড়া ও মালগাড়া এলাকার অন্তত ১০টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে। এ বছর আবারো সেই ভয়াবহতা ফিরে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একাধিক মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় ১০ হাজার পরিবার রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে।
বগুড়াপাড়ার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, “আমার বাড়ি-জমি সবই গিলে খেয়েছে মালদা নদী। এখন রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছি। এই রাস্তার ভাঙারও আর বেশিদিন বাকি নেই।”
আরেক বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, “আগে বলাইরহাট-লোহাকুচি সড়ক দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করতাম। এবার ভাঙনে সড়ক ও ব্রিজ দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গোড়ল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রমজান আলী বলেন, “দুই বছর আগেও নদী সড়ক থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ছিল। গত বছরের ভাঙনে সড়কের অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, “গত ৪ জুন মালদার ভাঙনপ্রবণ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানকার পরিস্থিতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”