রাজনীতি
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

ঢাকা অফিস ঢাকা অফিস | June 20, 2025

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আইনগতভাবে তার দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে খবর, দেশে ফিরে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে সশরীরে অংশ নিতে পারেন তারেক রহমান। আগামী বছরের ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে একটি বড় ধরনের গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। দলটি ওই দিন ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ করার চিন্তাভাবনা করছে এবং এই সমাবেশে তারেক রহমানের সরাসরি যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমানের সঙ্গে তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান এবং একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমানও দেশে ফিরবেন। তারা সরাসরি লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে জানা গেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ভেতরে ভেতরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে।

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জানা যায়, দেশে ফেরার পর তারেক রহমান কোথায় অবস্থান করবেন, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করছেন। ঢাকার গুলশান-২ অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়িটি তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে এটিই তার চূড়ান্ত বাসস্থান হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

তারেক রহমানের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি সরকারের কাছে তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা চাইবে। পাশাপাশি, দলের চেয়ারপারসনের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফ সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে থাকবে। এছাড়াও, তার অফিস ও বাসভবন ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির পরিকল্পনাও নিয়েছে দলটি।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, সেই সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন। এটি আগাম বলা যাবে না। তবে তিনি দেশে আসার আগে একটি বড় সারপ্রাইজ থাকবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১/১১-এর জরুরি সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে তিনি লন্ডনে যান। তখন থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর লন্ডনে থেকেই তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo