সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনিবার ও রবিবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা (কফ) পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কেউ সাতক্ষীরার কোনো হাসপাতালে ভর্তি হননি।
করোনা আক্রান্তরা হলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মৃত জগবন্ধু সেনের ছেলে রামপ্রসাদ সেন (৭৫) এবং শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের সামছুর রহমান মোড়লের ছেলে ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিএ (কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট) সাদ্দাম হোসেন (৩৩)।
তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের সুমন সেন জানান, তার ছোট ভাই সমীর সেন পেশাগত কারণে কুষ্টিয়া শহরের পুরাতন আলফা মোড়ে বসবাস করেন এবং সেখানে তিনি ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানায় কাজ করেন। কয়েকদিন আগে তার বাবা রামপ্রসাদ সেন সমীরের বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে তিনি গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে করোনা উপসর্গ দেখা দিলেও হাসপাতালের মেশিন চুরি হয়ে যাওয়ায় শনিবার তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় নমুনা পরীক্ষার জন্য। কফ এর নমুনা দেয়ার পরপরই তাকে আবার অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়ায় ফিরিয়ে নেয়া হয় এবং সেখানে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
করোনা ঝুঁকির মধ্যে খুললো স্কুল, স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের সিএ সাদ্দাম হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে রবিবার সকালে হাসপাতালে আসেন। তার কফ পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ শনাক্ত করা হয়। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি।
সাদ্দাম হোসেন নিজেকে করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার কথা সরাসরি অস্বীকার না করে জানান, তিনি অন্য একটি ফোনে স্যারের (সম্ভবত জেলা প্রশাসক) সাথে কথা বলার কাজে ব্যস্ত আছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, গত ১৮ জুন সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগানের আজিজুর রহমানের ছেলে মাহাফুজুর রহমান (৬১) করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার তালার রামপ্রসাদ সেন এবং রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিএ সাদ্দাম হোসেনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে তারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে নিজ নিজ দায়িত্বে আইসোলশনে আছেন।
স্বাআলো/এস