তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে সাবেক বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্যদের একটি অংশ, যারা ২০০৯ সালের ঘটনার পর চাকরিচ্যুত হয়েছেন, রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিনা বিচারে চাকরিচ্যুতি ও পুনর্বহালের দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন বলে জানান।
দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে বেলা ১১টার কিছু পর পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেখানে পিছু না হটে বিক্ষোভকারীরা কাকরাইল মোড়ে বসে পড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকেন।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এলাকা ত্যাগ করার জন্য ১০ মিনিটের আলটিমেটাম দেয় এবং না সরলে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। পুলিশের এই হুঁশিয়ারির পরও বিক্ষোভকারীরা অবস্থান থেকে সরতে অস্বীকৃতি জানালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এরপর একাধিকবার সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশের এই পদক্ষেপের ফলে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় এবং সড়কটিতে যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা সাবেক বিডিআর সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের পিলখানা ঘটনার পর তাদের বিনা বিচারে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা ন্যায়বিচার ও চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও সরকার তাদের দাবি উপেক্ষা করছে, তাই তারা আবার রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যমুনা ও কাকরাইল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় বা সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস
