বিনোদন

‘বাসর ঘরে’ ফুটে উঠলো ফ্যাসিবাদী শাসনের চিত্র

বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক | August 3, 2025

বিগত শাসনামলের রাজনৈতিক নিপীড়ন ও নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে যশোরে মঞ্চস্থ হলো নাটক ‘বাসর ঘর’।

শনিবার (২ আগস্ট) রাতে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে এই হৃদয়স্পর্শী নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জেলা বিএনপির গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মাসউদ জামান।

আয়োজকদের ভাষ্যমতে, নাটকটিতে একটি ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের অধীনে ভিন্নমতের রাজনৈতিক শক্তিকে দমনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোমহর্ষক নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এক নবদম্পতিকে ঘিরে, যেখানে বাসর ঘর থেকে এক ছাত্রনেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বছরের পর বছর ধরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

আয়োজকরা বলেন, বিগত ১৭ বছরের শাসনামলে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্মমতার বাস্তব প্রতিচ্ছবিই ছিলো এর মূল উপজীব্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম দর্শক সারিতে বসে নাটকটি উপভোগ করেন। নাটকটি দেখতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শকেরও উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। নাটকের দৃশ্যের সাথে নিজেদের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনার মিল খুঁজে পেয়ে অনেক দর্শক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং অশ্রুসিক্ত হন।

নাটক শেষে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “এটি নাটক হলেও ছিলো বিগত সরকারের শাসন ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র। বছরের পর বছর ধরে ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এবং সবাইকে এই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করতে হবে।”

নাটকটির নির্দেশক মাসউদ জামান বলেন, “নাটকটিতে বিগত ১৭ বছরের শাসনব্যবস্থার বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে দমনের জন্য যে লোমহর্ষক নির্যাতন চালানো হয়েছে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।”

নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন সোহেল রানা, মাসউদ জামান, রুকাইয়া আলম, স্বপন দাস, মারুফ হোসেন, শামসুদ্দিন হোসাইন, আলমগীর হোসেন, ইফতেখার তাহসিন, হাসিবুর রহমান, রিফাত মাহমুদ, আনিসুর রহমান, পিয়াস মণ্ডল, ইব্রাহিম খলিল, তানভীর হাসান ও শাহিদুর রহমান।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo