শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, আবাসন আমার অধিকার’, এবং ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো:
১. শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আজই সিন্ডিকেট সভায় আধুনিক ও বহুতল হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে।
২. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।
৩. সকল হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের শনাক্ত করে অবিলম্বে তাদের সিট বাতিল করতে হবে।
৪. হলের আবেদনে যে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী সিট পাননি তাদের সেই টাকা ফেরত দিতে হবে।
৫. ছাত্রীদের হলে ‘ডাবলিং প্রথা’ বন্ধ করে ‘ডেকার বেড’ (বাঙ্ক বেড) প্রথা চালু করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, “শিক্ষার্থীদের অন্যতম মৌলিক দাবি হলো শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা। দীর্ঘ সময় ধরে প্রশাসন এই সমস্যা নিরসনে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেকবার আন্দোলন হয়েছে, স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। একারণেই আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “শিক্ষার্থীরা কিছু দাবির কারণে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রেখেছে। আমরা তাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে চেয়েছি। তারা এখনও বিক্ষোভ করছে। লিখিত দাবিগুলো পেলে আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।”
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন এবং কর্মকর্তারা ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন।
স্বাআলো/এস
