ফেডারেল ব্যয় নিয়ে কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউজের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র শাটডাউনের দিকে এগোচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্যান্স দুই দলের কংগ্রেসনাল নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় সমঝোতার চেষ্টা করলেও তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বৈঠকের পর স্পিকার মাইক জনসন ও সিনেটের রিপাবলিকান নেতা জন থুনকে পাশে নিয়ে ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা শাটডাউনের দিকে যাচ্ছি কারণ ডেমোক্র্যাটরা সঠিক কাজটি করতে চাইছে না।” এই খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
চূড়ান্ত সময়সীমা হলো বুধবার ভোর ১২টা ০১ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে সমঝোতা না হলে সরকারি দপ্তরগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং বহু ফেডারেল কর্মী সাময়িক ছুটিতে চলে যাবেন। রিপাবলিকানরা বর্তমান বাজেট বরাদ্দ নভেম্বরের ২১ তারিখ পর্যন্ত বহাল রাখতে চাইছেন। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য ছাড় দাবি করেছেন এবং রিপাবলিকানদের মেডিকেল সহায়তার মতো কর্মসূচিতে কাটছাঁট প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন, যা নিম্ন আয়ের আমেরিকানদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা তহবিল সরবরাহে সহায়তা করে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটরা তাদের সীমিত প্রভাবকে “সরকারকে জিম্মি” করার মনোভাব হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “আপনারা আমেরিকার জনগণের মাথায় বন্দুক ধরে বলতে পারেন না যে, আপনাদের সব দাবি না মানলে আপনারা সরকারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন।”
অন্যদিকে, সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফরিজ ও সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার ট্রাম্পের আগের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এর কাটছাঁটে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষতির কথা উল্লেখ করে পরিবর্তন চেয়েছেন। জেফরিজ জানান, ২০২৬ সালে বীমার প্রিমিয়াম বেড়ে যাওয়ার আগেই সংশোধন প্রয়োজন। শুমার সতর্ক করে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ও বাজেট সংশোধনীতে উভয় পক্ষের প্রস্তাব না মানলে শাটডাউন ঠেকানো কঠিন হবে।
তবে বৈঠকে সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর আলোচনার সুযোগ পেয়ে শুমার ইতিবাচক মন্তব্যও করেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্টকে স্বাস্থ্যসেবার বাস্তব প্রভাব বোঝালাম। তার মুখ দেখে মনে হয়েছে তিনি প্রথমবার বিষয়গুলো উপলব্ধি করছেন।” এই মন্তব্যে সমঝোতার একটি ক্ষীণ আশার আলো দেখা গেলেও, বুধবারের সময়সীমা দ্রুত ঘনিয়ে আসছে।
স্বাআলো/এস
