যশোরের বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তের শূন্যরেখায় এক মানবিক দৃশ্যের অবতারণা হলো। ভারতীয় নাগরিক জব্বার মন্ডল (৭৫)-এর মৃত্যুর পর তার মেয়ে মিতু মন্ডল ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা শেষবারের মতো তার লাশ দেখার সুযোগ পেলেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর যৌথ উদ্যোগে এই মানবিক কাজটি সম্পন্ন হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) সীমান্তের মেইন পিলার ২৫/৬-এস এর নিকট কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ স্বজনদের দেখানো হয়।
জানা গেছে, মৃত জব্বার মন্ডল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার মেয়ে মিতু মন্ডল, যিনি স্বামী বাবলু মন্ডলের সাথে বেনাপোল পোর্ট থানার বেনাপোল পোড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা, তিনি পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে লাশ দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি জানান, ভারতের বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের ভারতীয় নাগরিক জব্বার মন্ডল বার্ধক্যজনিত কারণে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে মঙ্গলবার মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত তার স্বজনরা লাশ দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন করেন। অন্যদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকেও বাংলাদেশে অবস্থিত জব্বার মন্ডলের স্বজনদের লাশ দেখানোর জন্য বিজিবি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এই মানবিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয় এবং লাশ স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। লাশ দেখার পর্ব শেষে, জব্বার মন্ডলের লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাংলাদেশি স্বজনরা তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
এই ঘটনা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মানবিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
স্বাআলো/এস