রাজধানীর আফতাবনগরে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মূল অভিযুক্ত ম্যাক্স অভি গ্রেপ্তার হলেও, সম্প্রতি হিরো আলম নিজেই তার স্ত্রী রিয়া মনির দিকে সন্দেহের আঙুল তুলেছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আফতাবনগরে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় হিরো আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েকজন হিরো আলমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। হামলার পর হিরো আলম কালের কণ্ঠকে জানান, তাকে মারধর করা হয়েছে এবং হামলাকারীরা বারবার বলছিল কেন তিনি নির্বাচনে দাঁড়ান।
এই ঘটনায় হিরো আলম ম্যাক্স অভি ও মিথিলাসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগর এলাকার মেইনরোড দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এজাহারনামীয় ৪ জনের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জন আসামি তিনটি মোটরসাইকেলে এসে তার পথরোধ করে। জোর করে আসামিরা তাকে পাশের কাশবনে নিয়ে যায় এবং কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স অভির হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। বাম হাত দিয়ে আঘাতটি ফেরাতে গেলে তিনি গুরুতর জখম হন। অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতে থাকা লোহার ধারালো স্কেল দিয়েও আঘাত করে, যা তার ডান হাতের কনুইয়ে লাগে। এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত হন। পরবর্তী সময়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতের লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে আঘাতটি কপালের বাম দিকে লাগে। পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আসামিরা তার সারা শরীরে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুসি, লাথি ও চড় থাপ্পড় মেরে জখম করে। ম্যাক্স অভি তার একটি মোবাইল ভেঙে ফেলে। যাওয়ার সময় আসামিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। পরে আশেপাশের মানুষের সহযোগিতায় হাসপাতালে যান হিরো আলম।
তবে সম্প্রতি হিরো আলম এই ঘটনার জন্য তার স্ত্রী রিয়া মনিকে সন্দেহ করছেন। হিরো আলমের ভাষ্য, “কিছুদিন আগে যখন মানুষ ম্যাক্স অভিকে গণধোলাই দিল তখন দৌঁড়ে গিয়ে রিয়া মনি তাকে জড়িয়ে ধরলো। আর আমি যখন হামলার শিকার হলাম তখন রিয়া মনি আমাকে তো জড়িয়ে ধরেনি। এ থেকে কী বোঝা যাবে? তাঁর চোখে পানি দেখিনি।”
যদিও হিরো আলম তার স্ত্রীকে সন্দেহ করছেন, এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেননি।
স্বাআলো/এস
