নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে মারধরের পর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে এবং আসামির স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার এই মামলাটি করেছেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামির বিরুদ্ধে সদনজারীর আদেশ দিয়েছেন।
আসামি হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম শার্শা উপজেলার ছোট বিজামপুর কুরইয়ানিয়া কওমী মাদরাসার শিক্ষক এবং সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
২২ বছর পর স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেফতার
বাদী মামলায় বলেছেন, ২০১৯ সালের ৮ জুন এক লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা দেনমোহরে আসামি হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বাদীর স্বামী যশোর সদর উপজেলার নুরপুরের বাসিন্দা হলেও তিনি শার্শা উপজেলার ছোট নিজামপুর কুরইয়ানিয়া কওমি মাদরাসার শিক্ষক। দুইটি সন্তান নিয়ে সুমাইয়া আক্তার আসামি তার স্বামী রবিউল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নুরপুরে বসবাস করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবিতে সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো তার স্বামী। গত ১২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে মারধরের পর এক বস্ত্রে সন্তানসহ তার বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে এই মামলাটি করেছেন।
স্বাআলো/এস