সম্পাদকীয়: নিয়তির নির্মম পরিহাস পরিহাস একটি দুর্ঘটনায় পাঁচ বন্ধু নিহত হয়েছে। ছয় বন্ধু প্রাইভেটকারযোগে ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু হয়। ৪ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়াস্থ পাবনা সুগার মিল গেটের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো আযমপুরের সিফাত ইসলাম সিয়াম (১৬), শিশির মাহমুদ (১৫), জিহাদ হোসেন (১৪), বিজয় হোসেন (১৮) ও ভাড়ইমারী শাওন (১৪)। আহতরা হলো নাইম হোসেন (১৪) ও আবু সাঈদ (১৭)। বিজয় ঢাকায় একটি কোম্পানিতে প্রাইভেট কার চালক হিসেবে চাকরি করতো।
ছুটিতে বাড়ি এসে বন্ধুদের নিয়ে সে প্রাইভেকার চালিয়ে ঘুরতে বের হয়। অনিয়ন্ত্রিত দ্রুত গতির প্রাইভেট কারটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ওই পাঁচজন নিহত হয়।
এ দুর্ঘটার জন্য অন্য কাউকে দায়ি না করে বলবো এটা নিয়তির নির্মম পরিহাস। বোপরোয়া টিনএজারদের এমনই পরিণতি হয়। যদি অন্য কোন যানবাহনের সাথে সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটতো স্থানীয় জনতা উত্তেজনা
বশত প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করতো অথবা আরো আরো কিছু করে বসতো।
ঘটনা যাই হোক নিহতদের পরিবারের এ ক্ষতি পোষাবে কে? আমরা জানিনে আর কত প্রাণ এভাবে গেলে উচ্ছৃখল কিশোরদের নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব ক্ষেত্রেই দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টদের একটা গাছাড়া ভাব। চাকরি
করতে এসেছেন এটিই যেন তাদের কাছে বড় পাওনা। কিন্তু এই চাকরিটা নিলে তার ওপর যে কতকগুলো দায়িত্ব বর্তায় তা তাদের মাথায় থাকে না। যদি সড়কে চলাচলের নিয়ম-নীতি কড়াকড়িভাবে ব্যবস্থা থাকতো তাহলে এ
বিয়োগান্ত ঘটনাটি ঘটতো না। আমরা বলবো যে যেখানে আছেন সে সেখান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে না।
স্বাআলো/এস/বি