জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা ডামি বা বিকল্প প্রার্থী হচ্ছেন তাদেরকে খেলনা বন্দুকের সঙ্গে তুলনা করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছেন ডামি ক্যান্ডিডেট রাখার জন্য। আসলে ডামি ক্যান্ডিডেট কী সেটা তো আমরা জানি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতার সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
মতবিনিময় থেকে বেরিয়ে এসে নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো কোনো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস দেখতে চান না তিনি। সব আসনেই যেন ডামি (বিকল্প) প্রার্থী থাকে।
এ বার্তা পাওয়ার আগে প্রতীক না পেলে ভোটে দাঁড়াবেন না ঘোষণা দেয়া নেতারাও এখন উল্টো চিন্তা করছেন। তার প্রতিফলন দেখা গেছে মাঠের চিত্রে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত রাখছেন।
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা ছোটবেলায় কুচকাওয়াজ করেছি। তখন আমাদের একটা বন্দুক থাকতো। সে বন্দুকের নলও নেই, গুলিও হয় না। সেটাই হলো ডামি। সেই বন্দুক ফোটেও না। ক্ষতিও করে না। তো নির্বাচনে আমরা এমন একটা ডামি ক্যান্ডিডেট রাখবো।
তিনি আরো বলেন, যাতে করে আন-কনটেস্ট কেউ কোনো জায়গা থেকে নির্বাচিত না হয়। মূলত আমরা কমপিটিশনের মধ্যে দিয়ে একটা চমৎকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।
নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবাধ, সুস্থ, সুন্দর, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন হতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নতুন ঘোষণাপ্রাপ্ত মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের মিয়া, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিমন্ত্রী গাড়িবহর নিয়ে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পৌঁছলে সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সেখানে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে তিনি।
স্বাআলো/এসএ
