৭৩ বছরের বৃদ্ধ কৃষক আমিনুর রহমানের ভোটার কার্ডের বয়স ৩৬ বছর। বড় ছেলে আনিসুর রহমানের ভোটার কার্ডে জন্ম সাল ১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ অনুযায়ী বয়স ৩৮ ববছর। সে অনুপাতে পিতার চেয়ে পুত্র দুই বছরের বড়।
এদিকে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য তিন বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে ঘুরলেও তা এখনো সংশোধন করতে পারেনি ওই কৃষক। ফলে সে সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুর রহমান লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত সনে আলীর ছেলে।
লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেলো সাংবাদিকের
তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ২৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল। তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ২৮ মার্চ ১৯৫০ সাল হবে। ভুলে তার জাতীয় পরিচয় পত্রে ২৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল হয়েছে। সে অনুযায়ী তার বয়স প্রায় ৩৬ বছর। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আমিনুর রহমান প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন।
হাতীবান্ধা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সেই অনুযায়ী রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন অফিসার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্ত আসলে তাকে পাওয়া যায়নি। এজন্য তার আবেদনপত্রে অনুপস্থিত লেখা হয়েছে। হাতীবান্ধা নির্বাচন অফিসে তার কোনো কাজ নেই। জন্ম সাল সংশোধন করতে হলে এখন বিভাগীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
লালমনিরহাটে ৮ রেল ক্রসিং পার হতে পথচারীদের ভোগান্তি
ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স ঠিক করার জন্য হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট শহর পর্যন্ত ঘুরেছি। কিন্তু জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারিনি। ভোটার আইডি কার্ডের জন্য জমি কিনতেও পারছি না, বিক্রি করতেও পারছি না। অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি। তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, ভোটার কার্ডে জন্ম তারিখসহ অন্যান্য সংশোধন কাজটা যেনো সহজ করা হয়। আমার মতো আর কেউ এমন ভোগান্তিতে না পড়েন।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, আমিনুর রহমান আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করা হবে। তার জন্ম তারিখ সংশোধন হলে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।
হেমন্ত নিয়ে এলো শীতের আগমনী বার্তা
লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির সরকার বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এমন ভুল হতে পারে। বয়স সংশোধনের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। সে বিভাগীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে গেলে ভুল সংশোধন হয়ে যাবে।
স্বাআলো/এস