সম্পাদকীয়: ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত অন্য তিনজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৬ এপ্রিল সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের অ্যাবলুম রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, একই পরিবারের পাঁচজনসহ নিহত ১৪
হতাহতদের সবাই জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এখন নিত্যদিনের চিত্র। সড়কে দুর্ঘটনা মহামারী থামছে না। স্বজন হারানোর বেদনা কতটুকু তা যারা এ ব্যথায় ব্যথিত তারা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। যানবাহনের আঘাতে যে মৃত্যু হচ্ছে তা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। পথ চলতে আমরা এতো বেপরোয়া যে অসতর্ক হলে দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেউ খেয়াল করে না। এজন্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য কেউ কারো ওপর দোষ না চাপিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতা উল্টালে কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর চোখে পড়ে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেউ খেয়াল করে না। বড় একটি যানের আঘাতে মৃত্যু ঘটে সম্পূর্ণ অসচেতনতার কারণে। দুর্ঘটনার কারণে প্রচলিত ধারায় পরিবহন শ্রমিকদের এককভাবে দায়ী করা হয়। কিন্তু আসলে শ্রমিকরা শুধু দায়ী নয়। এজন্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য কেউ কারো ওপর দোষ না চাপিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।
স্বাআলো/এস