বিনোদন ডেস্ক: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার রাতেই প্রয়াত হন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্র।
গত সপ্তাহে জানা যায়, ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে অভিনেতাকে। একমাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পাশে ছিলেন না পরিবারের কেউ। পার্থসারথি দেবের অসুস্থতার প্রসঙ্গে অভিনেতা বাপি দাস বলেছিলেন, এক মাস ধরে তিনিই তাঁর সহকর্মী ও পিতৃস্থানীয় পার্থসারথি দেবের দেখাশোনা করছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডির সমস্যায় জর্জরিত পার্থসারথি। তাঁর সঙ্গে বুকে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া দুই টোই ধরা পড়েছে।
অভিনেতার পাশে কেউ জানিয়ে বাপি দাস বলেছিলেন, এই মুহূর্তে আমি এবং আর্টিস্ট ফোরাম ছাড়া পার্থদার পাশে কেউ নেই। আর্থিক সাহায্য করছে ফোরাম।
আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম; কিন্তু কোনো রকম সাড়া পাইনি।
অনেকটা নীরবে নিভৃতেই চলে গেলেন পার্থসারথি দেব। অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ২২ মার্চ রাত ১১.৫০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।
শনিবার (২৩ মার্চ) টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে ১২টার সময় অভিনেতার নশ্বর দেহ রাখা থাকবে।
অভিনেতার প্রিয়জন, সতীর্থ, গুণগ্রাহীরা সেসময় স্টুডিওতে এসে শেষ শ্রদ্ধা ও মাল্যদান করতে পারবেন।
জীবনের শেষ সায়াহ্নে অভিনেতা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তাঁর পাশে পাননি পরিবারের কাউকে। এমনটাই উঠে এসেছে একাধিক ভারতীয় প্রতিবেদনে। ব্যক্তি জীবনে দূরদর্শনের মেকআপ আর্টিস্ট বিনীতা দেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন পার্থসারথি। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে তিক্ততার ফলে আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গেছে দুইজনের। পার্থসারথির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন বিনীতা। প্রাক্তন স্বামীর অসুস্থতার খবর অজানা নয় তাঁর, তবে বিনীতা বা তাঁর মেয়ে কেউই খোঁজ নেননি বলে জানা গেছে।
মঞ্চ-সিনেমা-সিরিয়াল সব জায়গাতেই সমান হারে কাজ চালিয়ে গেছেন পার্থসারথি দেব। পর্দায় কাজ করছেন ৪০ বছর ধরে। মঞ্চে তাঁর অভিনয় আজও সবাইকে মুগ্ধ করে। টিভির পাশাপাশি বড় পর্দায়ও সফল তিনি। ক্যারিয়ারে ২০০টিরো বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
স্বাআলো/এস