স্পোর্টস ডেস্ক: বড় জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করল আফগানিস্তান। প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে উগান্ডাকে ১২৫ রানে হারিয়েছে রশিদ খানের দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৭৬ ও ইব্রাহিম জাদরানের ৭০ রানে ভর করে পাঁচ উইকেটে ১৮৩ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় উগান্ডা।
এদিকে এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে বেশ কিছু রেকর্ড লেখা হয়ে গেছে। একনজরে দেখে নেয়া যাক সেসব রেকর্ড।
ইনিংস গোড়াপত্তনে ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমানউল্লাহর রেকর্ড জুটি। বিশ্বমঞ্চে আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি এটি। এর আগে, কখনো ১০০ রান পেরোনো জুটি গড়তে পারেনি তারা।
বিশ্বমঞ্চে পাওয়ার প্লেতে আফগানদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে দুই উইকেটের বিনিময়ে ৬৪ রান করেছিলো তারা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৬ বিশ্বকাপের পর সেটিও টপকে গেলো তারা।
উগান্ডার রিয়াজাতের স্ট্রাইকরেট। দলীয় বিপর্যয়ের সময়ে ৩৪ বলে ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে বিশ্বমঞ্চে এটিই সবচেয়ে ধীরগতির ইনিংস। এতে ভারতের বিপক্ষে ডোয়াইন স্মিথের ৩৭ দশমিক ৯৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসকে পেছনে ফেলেছেন তিনি।
বিশ্বমঞ্চে অভিষেকে উগান্ডার সংগ্রহ। ২০ ওভারের ফরম্যাটে চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় দুইবারই নেদারল্যান্ডসের নাম আছে। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানের পর, সাত বছর ব্যবধান লঙ্কানদের বিপক্ষেই ৪৪ রান করেছিল ডাচরা। এই তালিকার তিনে আছে ২০২১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৫ রানের সংগ্রহ।
ফজলহক ফারুকির বোলিং ফিগার। সংক্ষিপ্ত বিশ্বকাপে চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার এটি। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন শ্রীলঙ্কার মিস্ট্রি স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। তালিকার দুইয়ে থাকা রঙ্গনা হেরাথ ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন .রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন। এ ছাড়া ২০০৯ বিশ্বকাপে ছয় রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে কিউইদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন পাকিস্তানের উমর গুলো।
এই ব্যবধানে জয় পেয়েছে আফগানরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ জয় এটি। সর্বোচ্চ ১৭২ রানের জয় লঙ্কানদের। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলো তারা।
দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে ফাইফারের দেখা পেয়েছেন ফারুকি। এর আগে, ২০২১ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে ফাইফার নিয়েছিলেন মুজিব-উর-রহমান।
স্বাআলো/এস/বি