যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কেশবপুর পৌরসভার সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
যশোরের আলোচিত কাউন্সিলর সাতক্ষীরায় আটক, জনমনে স্বস্তি
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীসহ কেশবপুরের তিন শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুর অপসরণের দাবি জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান, পৌর যুবলীগ নেতা জয় ভদ্র, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুকে একজন চাঁদাবাজ ও অবৈধ দখলদার হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করার দাবি জানান। এছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, পৌর শহরের মধুসড়কে আব্দুর করিম নিজ জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করতে গেলে তার কাছে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা দাবি করেন বাবু। আলতাপোল এলাকায় মেহেদি বিশ্বাসের জমি দখল, গরুহাটার পাশে আব্দুল মজিদ বড় ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমি সীমানা দিতে গেলে তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, মধুসড়কের শিউলি গার্মেন্টেসের মালিক নূর ইসলামের জমি সংক্রান্ত বিরোধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়, পল্লী বিদ্যুৎ সাবষ্টিশনের সামনে হাবিবুর রহমান ও খোকনের জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে হাবিবুর রহমানের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। মধুসড়কের অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য শওকত হোসেনের প্লান ছাড়া ৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণে ১ লাখ টাকা চাঁদা আদায়য়সহ জমির বিরোধে শেখ মুনছুর আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি একে আজাদ ইকতিয়ারের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেকিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু। এছাড়াও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্নাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বাবু। এসব ঘটনায় ভয়ে অনেকেই মামলা না করলেও নাশকতাসহ তার বিরুদ্ধে কেশবপুর ও যশোর থানায় ৫ টি মামলা রয়েছে। গরু হাটের ইজারা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে তার কথোপকথনের একটি অডিও ভাইরাল করেও তিনি আলোচিত হন।
স্বাআলো/এসএ