আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ভাটখালি বাজারের ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটে ডাকাতির ঘটনার সাড়ে তিনমাস অতিবাহিত হলেও থানায় মামলা হয়নি।
গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ রাতে ডাকাত দল ভাটখালি বাজারের ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের শাটার ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ আট লাখ ২৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি সোনার গহণা নিয়ে যায় ।
নগদ টাকা ও সোনার গহণা লুটের ঘটনার সাড়ে তিন মাস পার হলেও ডাকাতদের সনাক্ত করা যায়নি। এমনকি মোরেলগঞ্জ থানায় কোনো মামলাও হয়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীর। এই অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত রয়েছেন ভাটখালী বাজারের ব্যবসায়ীরা।
বাজারের ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের পরিচালক নাইম রাকিব বলেন, ঘটনার পরের দিন ২৯ নভেম্বর সকালে বিষয়টা দেখে পুলিশকে জানাই। সে অনুযায়ী মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশিকুর রহমান ও মোরেলগঞ্জ থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
অথচ, এরপর সাড়ে তিনমাস অতিবাহিত হলেও মামলা হয়নি। সিসি ক্যামেরা ছিলো আউটলেটের অফিসে তার ফুটেজও দিয়েছি পুলিশের কাছে। কিন্তু এখনো কোনো কিছুই হয়নি।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা হলেও, এই বাজারের ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজন রয়েছে এজেন্ট আউটলেটে লেনদেন করে। আমি নিজেই এখন ভয়ে আছি, আবার না এরকম ঘটনা ঘটে। যার কারণে ব্যবসাটিও ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারছি না। তাই অতিদ্রুত মামলা দায়ের এবং ডাকাতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই ব্যবসায়ী।
ভাটখালি বাজারের ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, এই বাজারে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট থেকে লেনদেন করে। পাশাপাশি সিন্দুক থাকায় কিছু টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রও রাখতাম এখানে। সিসি টিভি থাকার পরেও এত বড় একটা ঘটনা ঘটল এবং এত দিনেও ডাকাতরা শনাক্ত না হয়ায় আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি।
ভাটখালি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার ফারুক হোসেন বলেন, পুলিশের তৎপরতা দেখে মনে হয়েছিলো যে ডাকাতির ঘটনাটি উদঘাটন হবে। কিন্তু এতদিনেও ডাকাতরা শনাক্ত না হয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অতিদ্রুত ডাকাতদের শনাক্ত ও টাকা উদ্ধারের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
এদিকে এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে দাবি করে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রাসেলুর রহমান বলেন, এজেন্ট আউটলেটের পরিচালক মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এছাড়া তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
তিনি এখনো অফিসিয়ালি অভিযোগ দেয়নি।
স্বাআলো/এসআর