আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘জুলাই মঞ্চ’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এই মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমর্থনকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা একযোগে আন্দোলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল যমুনার সামনে থেকে মঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন।
মঞ্চের সামনে সমবেত হয়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জোরালো স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের মুখে “ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান”, “চব্বিশের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই”, “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা” ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায়। জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনেই জুমার নামাজ আদায় করার পরিকল্পনা করেছেন।
এদিকে, এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিক থেকে এবং কাকরাইল মসজিদের দিকের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করে রেখেছে।
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ঘোষণা
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে উপস্থিত হন। এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতাকর্মী এবং রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। রাত ২টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারাও এই বিক্ষোভে যোগ দেন বলে জানা গেছে।
রাত ২টার কিছুক্ষণ আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মাইকে স্লোগান শুরু করলে যমুনার আশপাশের এলাকা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা “ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগকে ব্যান করো”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে”, “ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
স্বাআলো/এস