সম্পাদকীয়: গণমাধ্যমে প্রায় খবর আসছে নারী ও স্কুল, কলেজ, মাদরসার ছাত্রীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষকদের কি শাস্তি হবে তা আদালতে নির্ধারিত হবে। এমনও হতে পারে যারা ধর্ষক বলে ধরা পড়েছে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাশ পেয়ে যেতে পারে। ধর্ষিতাদের অনেকের স্বামী সংসার আছে। ছাত্রীদের অনেকেই উচ্চ শিক্ষার পথে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
দেশটা নিরীহ মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি হবে এটা সবার কাম্য। অপরাধীদের অভয়ারণ্য হোক তা কেউ চায় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হিংস হায়েনার মতো দুর্বৃত্তরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আর নিরীহ মানুষ তাদের ভয়ে আতংকিত জীবন যাপন করছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। যদি দুর্বৃত্তের ভয়ে বাইরে না যাওয়া যায় তাহলে তো মানুষ নিষ্প্রাণ অথর্ব হয়ে যাবে। এ ভাবে যদি মানুষ দুর্বৃত্তদের ভয়ে আটকা পড়ে থাকে তাহলে এই ভীতি উন্নয়নের পথের প্রধান একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিন্ত ও বাধামুক্ত করতে সব শ্রেণির দুর্বৃত্ত দমনে কঠোরহস্ত হতে হবে। অপরাধের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যায় তাহলে সে রকম একটি পরিবেশ আশা করা যায়। অপরাধীরা রেহাই পেলে আরো অপরাধ করার আষ্কারা পাবে তারা। একটি অপরাধের শাস্তি না হলে আর একটি অপরাধ সংঘটিত হবার পথ প্রশস্ত হয়।
ধর্ষিতা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই তার ওপর সামাজিক বিষয়টা সারা জীবনের জন্য একটা পীড়াদায়ক ঘটনা হয়ে থাকে। ছাত্রীদের বিয়ে-সাদির ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ বিড়ম্বনা পোহাতে হবে। সব দিকে বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণ প্রতিরোধের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
স্বাআলো/এস