অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলিংয়ের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ৭০ বছরের পুরোনো এক লজ্জার ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিল ক্যারিবীয়রা। টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় এই ইনিংসে ভর করে ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফির শেষ টেস্টে ১৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে রস্টন চেজের দল। এই জয়ের মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া।
কিংস্টন টেস্টে জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের বোলিং তোপে মাত্র ১৪.৩ ওভারেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। দলের দশজন ব্যাটারই এক অঙ্কের ঘরে আউট হন, যার মধ্যে সাতজনই রানের খাতা খুলতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১ রান আসে জাস্টিন গ্রেভসের ব্যাট থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটিং লাইনআপ ध्वस्त করার মূল কারিগর ছিলেন পেসার মিচেল স্টার্ক। তিনি মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে একাই তুলে নেন ৬টি উইকেট। আরেক পেসার স্কট বোল্যান্ডও কম যাননি। মাত্র ২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তুলে নেন হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ১৪তম ওভারে তিনি টানা তিন বলে তিন উইকেট শিকার করে ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা আছে মাত্র একটি। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংসের রেকর্ড। আর মাত্র এক রান কম করলেই সেই লজ্জার রেকর্ডে ভাগ বসাতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে, তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৯৯ রান নিয়ে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের সামনে বিপাকে পড়েছিল। শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফের বোলিং তোপে সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়। আলজারি জোসেফ ২৭ রানে ৫টি এবং শামার জোসেফ ৩৪ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংস – ২২৫ এবং ২য় ইনিংস – ১২১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১ম ইনিংস – ১৪৩ এবং ২য় ইনিংস – ২৭
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৭৬ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
স্বাআলো/এস