হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট: মেস ভাড়া দুই হাজার একশত টাকা বকেয়া থাকায় গার্মেন্টস কর্মী নাসির হোসেন শিমুলকে (১৭) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেস মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৯ জুলাই) নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্ল্যাহ থানার বিসিক দুই নম্বর গেট সংলগ্ন একটি মেসে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মৃতের নারায়াগঞ্জ মর্গে ময়না তদন্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ফতুল্ল্যাহ থানায় একটি হত্যার অভিযোগ দিয়েছে নিহতের বাবা মশিউর রহমান ভান্ডারী।
গার্মেন্টস কর্মী নাসির হোসেন শিমুল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামের মশিউর রহমান ভান্ডারীর পুত্র। সে তিস্তা নদীভাঙ্গনের শিকার দরিদ্র পরিবারের সন্তান। জীবিকার সন্ধানে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে ঢাকার নারায়গঞ্জের ফতুল্ল্যাহ থানার বিসিক দুই গেট এলাকার চাষাড়ায় হোসেন নামের বাড়িক মালিকের মেসে থাকত। এই মেসের ম্যানেজার ছিলেন জাহেদুল ইসলাম।
মৃত্যুর আগে শিমুল তার চাচা মোরসালিনকে মোবাইল ফোনে জানায়, মেসে তার দুই হাজার এক শত টাকা বকেয়া রয়েছে। এজন্য মেস মালিক ও ম্যানেজার তাকে অন্য জায়গায় ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে আটকে রেখেছে। টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলেন। তাৎক্ষনিক ভাবে বাবা টাকা নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌচ্ছায়। গিয়ে দেখেন চিলে কোটার একটি ঘরে তার সন্তানকে মেরে ফেলে ঝুলিয়ে রেখেছে। সন্তানকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় বাবা। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মশিউর রহমান ভান্ডারী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার সন্তানকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তার সন্তানের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় টিপে ধরায় আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট বুঝা যায়। তিনি ফতুল্ল্যাহ থানায় তার সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন।
ফতুল্ল্যাহ থানার ইন্সেপেক্টর কাজী মাসুদ রানা জানান, বাবা ও স্বজনরা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করতে নারায়নগঞ্জ ভেক্টরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে নির্যাতন করে হত্যার আলামত পেলে বিষয়টি নিয়মিত হত্যা মামলা হবে। পরিবারের স্বজনদের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসা সময় পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরতে বলেন। পুলিশের পক্ষে ন্যায় বিচার পেতে সহায়তার কোনো ত্রুটি থাকবে না বলে জানান।
স্বাআলো/এস