সম্পদকীয়: বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলায় এক ইউপি চেয়াররম্যানের বিরুদ্ধে গরিবদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে একটি দোকানে লুকিয়ে রাখা ১৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে। ১৩ এপ্রিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্বাধীন আলোতে এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলার অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ওই চাল চুরি করে দোকানে লুকিয়ে রেখেছিলো । ১০ এপ্রিল দিনগত রাতে সরসপুর বাজারের একটি দোকানের গোডাউন থেকে এ চাল উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন সরকার।
সরকারি চাল নিয়ে নয়-ছয়ের ঘটনা থামছেই না। দেশে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে তৎপরতা চলছে তাতে এসব নয়-ছয়কারীদের ভয় পাবার কথা ছিলো। কিন্তু না, তাদের বুক একটুও কাঁপেনি। চাল নিয়ে চালবাজীর খবর মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত আসছে। কিন্তু ওকান জায়গায়ই কেন যে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না তার উত্তর মিলছে না।
গরিবের মুখের গ্রাস যারা চুরি করে খায় তাদেরকে মানুষ বলা যায় না। ওরা অমানুষ। মানবতা বর্জিত সমাজের কলঙ্ক। এই চাল সমাজের বিত্তবানরা চুরি করে খাচ্ছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। চোর ধরা যে পড়ছে না তা নয়। যারা ব্যবস্থা নেবে তাদের আঁচলের নিচে তো চোরদের আশ্রয়। শুনতে তিক্ত হলেও সত্য এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যখন যারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকে তারাই এই অপরাধটি বিনা বাধায় করে। এভাবে চুরি করে খাওয়া কালচারে পরিণত হয়েছে। দেশটা আজ লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, তার পেছনের একমাত্র কারণ তদন্তের নামে সময় ক্ষেপণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের বেলায় অদৃশ্য হাতের ছোয়ায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়া। এই শ্রেণির মানুষগুলো কি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার মিশন নিয়ে কাজ করছে? দেশটাকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তখন তারা সাহস পাচ্ছে কি করে এসব অপরাধ করার। কোনো রকম অনুকম্পা না দেখিয়ে এসব বিত্তবান চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
স্বাআলো/এস