সম্পদকীয়: মাঠে ধান পেকে উঠেছে। এ অবস্থায় তীব্র দাবদাহের ভেতর ধান কাটা একবারে অসম্ভব। কারণ তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরো তিনদিন বাড়ছে।
একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে।
রেড আ্যালার্ট জারি করা হলেও ধান না কাটলেও নয়। তাই কৃষকরা দিনে হিট স্ট্রোকের ভয়ে চাঁদের রাতে আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা। এ অবস্থা দেখা গেছে শরিয়তপুরে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) রিয়াজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রচন্ড দাবদাহে কৃষকদের দিনে ধান কাটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, অতিরিক্ত গরমে কাজ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাতে ধান কাটা হচ্ছে। এতে হিট স্ট্রোক এড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
অতিরিক্ত গরমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময় ব্যক্তিগত সতর্কতা জরুরি। সরাসরি রোদে যত কম যাওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে। এ অবস্থায় শরিয়তপুরের কৃষকরা অতি বুদ্ধিমানের কাজ করছে। কৃষি কাজটা এমন এক পেশা যে ঝড়-ঝঞ্ঝা, বিপদ-আপদ কোন কিছুতেই কাজ থামিয়ে রাখা যায় না। তারা নিজেরা বিপদ এড়িয়ে রক্ত পানি করে উৎপাদন করা ফসল ঘরে তুলছেন এটা অন্যদের জন্য প্রেরণার ম্যাসেস। প্রচন্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বয়স্কদের, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে বিভিন্নস্থানে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এস