সম্পাদকীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়। একসময় গ্রামে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে।
আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতিতে ঈদের আগে ২০০টি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প-কলকারখানাও তত বাড়ছে।
১৭ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন ৪০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি ছিলো। আমরাই প্রথম দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি।
প্রধানমন্ত্রী অতি বাস্তব কথাটি তুলে ধরেছেন। এ দেশের অনাহার ক্লিষ্ট মানুষের চিত্র যারা দেখেছেন তারাই জানেন মানুষের না খেয়ে থাকার সেই চিত্রের কথা । এক সময় এদেশে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রচন্ড অভাব দেখা দিত।
নতুন আউষ ধান ওঠার আগে গ্রামের মানুষের ঘরে ধান থাকতো না। সেই সময়কার একটি কবিতার দুইটি চরণ এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে। তা হলো শাক- সবজি কলমি লতা কচু ঘেচু খেলাম/ঘোমটার বধূ ন্যাংটা যে আজ কোন যুগে এলাম। এ সময়টায় মানুষ পাটের শাক খেয়ে এক বেলা কাটিয়েছে।
সারা দিন পর একবার খাওয়া জুটলেও পেট ভরে খাওয়ার সৌভাগ্য কারো হতো না। জনদরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সব খবর রাখেন বলেই এই কষ্টের কথাটি তার হৃদয়পটে স্পষ্ট হয়ে আছে। অতীতের সরকার খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণ হবার পরিবর্তে উৎপাদন ঘাটতি রেখে খাদ্য আমদানিতে বিশ্বাসী ছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরেছে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে কোন কথাতেই দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে না। আর তাই এ দিকে দৃষ্টি দেয়ার শুভ ফল হিসেবে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে।
মানুষের সেই না খেয়ে থাকার দিন বিদায় নিয়েছে। মানুষের মনে আজ অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে।
স্বাআলো/এস