ঢাকা অফিস: পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে গত ১২ মে পুরনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখান থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর ২০ মে কলকাতার নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনার খুন হন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়।
আনার নিখোঁজ নিয়ে ১৮ মে জিডি করেন বরাহনগরের ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। তবে পরদিন থেকে রহস্যজনকভাবে লাপাত্তা হন তিনি।
কলকাতায় নেয়া হচ্ছে এমপি আনারের মেয়ে ও ভাইকে
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সোনার কারবারের সূত্রে এমপি আনারের সঙ্গে ২৫ বছরের বন্ধুত্ব গোপালের। নিজ বাড়িকেই এসআরভি নামে গোপালের সোনার ব্যবসার অফিস। আনার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে শোরুমটি বন্ধ। গোপালের প্রতিবেশীরা তার সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। তদন্ত সূত্রের দাবি, গোপালকে আসামি নয়, রাজসাক্ষী হিসেবে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, আনারের ভারত এবং বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এমনকি শত্রু সম্পর্কেও ভালো জানা শোনা রয়েছে গোপালের। তদন্ত শুরুর পর থেকে প্রয়োজনে সাড়া দিয়েছিলেন গোপাল। ফলে তাকে আটক বা হেফাজতে নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি পুলিশ। যদিও মৌখিকভাবে তাকে এলাকা ছাড়তে নিষেধ করেছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, মুখ খুললে তদন্ত-সংক্রান্ত তথ্য বলে দিতে পারেন গোপাল বিশ্বাস, এমন আশঙ্কা থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে চুপ থাকার পরামর্শ দেন।
এমপি আনার হত্যা: যশোরে শিমুলের সহযোগী সাইফুল আটক
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের শুরু থেকে গোপাল তাদের সন্দেহের ঊর্ধ্বে ছিলেন না। তবে তিনি যে ধরনের তথ্য দিয়েছেন, তাতে কোনো ভুল পাননি। অভিযুক্ত অনেককেই চিনতেন গোপাল। ফলে তদন্ত খুব কম সময়ে দ্রুত এগিয়েছে।
স্বাআলো/এস