বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জড়ো হয়েছেন অঞ্জনার পরিবারের সদস্যরা। ছেলে নিশাত মনি কাঁদছেন। মেয়ে ফারজানা রহমানের বর কামরুল ইসলাম রিপন ছুটোছুটি করছেন। হয়তো খুলে ফেলতে হবে অভিনেত্রী অঞ্জনার ভেন্টিলেশন।
বুধবার ((১ জানুয়ারি) রাতে অভিনেত্রী অঞ্জনাকে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউয়ে নেয়া হয়। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয় রাতে। কিছুক্ষণ আগে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা জানান, অঞ্জনার অবস্থা সংকটাপন্ন।
মায়ের কথা বলতে গিয়ে কাঁদতে শুরু করেন নিশাত। তিনি বলেন, আম্মুর অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। ডাক্তাররাও বলে দিয়েছেন, এখন আর কিছু করার নেই। এই মুহূর্তে স্রষ্টার কৃপা ছাড়া আমাদের কিছুই করার নাই।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৪ নভেম্বর অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল পর্যন্ত তিনি সেখানকার সিসিইউতে ছিলেন। আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল বদলে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নেয়া হয়।
জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন অঞ্জনা। জ্বর এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ওষুধেও কাজ হচ্ছিলো না। পরীক্ষার পর জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তার শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
স্বাআলো/এস