ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা খোলা, আদালতের চূড়ান্ত রায়ের আগে আমার কোনো কিছু করার এখতিয়ার নেই। এছাড়া আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত, কোটা আন্দোলনকারীদের দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলাম। তবে কোটা বাতিল করায় সমস্যা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার তারা (শিক্ষার্থীরা) এ ধরনের আন্দোলন করছিলো। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিলো। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না?
স্বাআলো/এস