ঢাকা অফিস: বাংলাদেশের ১৭ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়ায় পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
সোমবার (৩ জুন) সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করেছিলো যে, তারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে কাজের ভিসায় সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এসব শ্রমিক মালয়েশিয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ মে এর মধ্যে সেদেশে যেতে পারেননি। ফলে তাদের কোটা বাতিল করা হয়।
অভিযোগ দিতে পারবেন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ জুন) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল দেশটির সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যদি আপনি আমার কাছে জানতে চান, সময় বাড়ানো হবে কি না? উত্তর হবে, না। আমরা অনেক আগেই ৩১ মে সময়সীমা ঘোষণা করেছি।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, এ বিষয়ে তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ব্যাখ্যা করেছেন, কোটা অনুমোদন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ও ফ্লাইটের ব্যবস্থাসহ সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া যত্নসহকারে বিবেচনা করে ওই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।
মালয়েশিয়া যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী
তিনি আরো্ জানিয়েছেন, গত ২৮ থেকে ৩১ মে এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে ভিসা পেয়েছেন। এছাড়া তিনি যুক্তি দেখিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের আগমনের ব্যবস্থা করার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন? যদি তাদের জরুরি প্রয়োজন হতো তবে তা ৩১ মে এর আগে করা উচিত ছিলো। এখন সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
‘মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোয় জটিলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’
মন্ত্রী অর্থনৈতিক যুক্তি দেখিয়ে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনাকে নাকচ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য বিশেষ সময়ের জন্য অনুরোধ করেছিলো, কিন্তু চেক-আউট মেমোর মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের আসা-যাওয়ার মালয়েশিয়ার বাজেট ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ২.৬ মিলিয়ন ছিলো, যা বর্তমানে ছাড়িয়ে গেছে।
৩১ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া অনিশ্চিত
এছাড়া নতুন কোটা অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাকচার, সার্ভিস ও কনস্ট্রকশন খাতের জন্য আমরা বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণ করেছি। কৃষি খাতের জন্য নতুন কোটা ছাড়াই পূর্বের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী ব্যবস্থা করবো।
স্বাআলো/এস