নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের খাজুরায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মেহেদী হাসান রিফাত (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী বখাটেদের মারধরের শিকার হয়েছে।
এ সময় চাকুসহ দুইজন আটক হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বন্দবিলা ইউনিয়নের চন্ডিপুর ইটভাটা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মেহেদী হাসান রিফাত সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম রেজার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আটক বখাটেরা হলো, বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের তেলীধান্যপুড়া গ্রামের অপূর্ব ওঝা (১৫) ও সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের বাপ্পী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চন্ডিপুর ইটভাটা মোড়ে বখাটেরা মাদরাসার ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিলো। প্রথমে রিফাত নামে ওই শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ করে। এ সময় বখাটেরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে রিফাতকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা এসে বাপ্পী ও অপূর্ব নামে দুই বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় লেবুতলা ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের মানিক (১৭) ও একই গ্রামের আবির (১৫) নামে দুই বখাটে পালিয়ে যায়।
আহত শিক্ষার্থী রিফাত বলে, আমি টিফিনে বাড়ি খেতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ওই বখাটেরা মাদরাসা ছাত্রীদের গায়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে উত্যক্ত করছিলো। আমি এর প্রতিবাদ করলে তারা চারজন মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ সিংহ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইভটিজিংয়ের ঘটনায় বার্মিজ চাকুসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক দুইজনের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
স্বাআলো/এস