উল্লেখযোগ্য যে, গত সপ্তাহে কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অভিযান পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই উদ্বেগজনক বার্তা এলো।
সীমান্তে ফের গোলাগুলি, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা বাড়ছেই
আতাউল্লাহ তারার বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চলে ভারতের স্বঘোষিত বিচারক, জুরি ও সাজা কার্যকরের ভূমিকা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। দেশটির এই আচরণ বেপরোয়া।
পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের অন্যতম বড় শিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভিশাপের যন্ত্রণা আমরা গভীরভাবে অনুধাবন করি। আমরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় সবসময় সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ এবং এর সকল প্রকার বহিঃপ্রকাশের নিন্দা জানিয়ে আসছি।
তিনি আরও জানান, একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সত্য উদঘাটনের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের আন্তরিক প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তার মতে, ভারত যুক্তির পথে না হেঁটে অযৌক্তিকতা এবং সংঘাতের বিপজ্জনক পথ বেছে নিয়েছে, যার পরিণতি সমগ্র অঞ্চল এবং এর বাইরেও বিপর্যয়কর হতে পারে। তারার দাবি করেন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এড়িয়ে যাওয়াই ভারতের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ।
হামলার পরিকল্পনা ভারতের, জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভারতের এ ধরনের যেকোনো সামরিক অভিযানের জবাব নিশ্চিতভাবে এবং দৃঢ়তার সঙ্গেই দেওয়া হবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা সৃষ্টি এবং এর পরবর্তী পরিণতির দায়ভার সরাসরি ভারতের ওপর বর্তাবে – এই বাস্তবতা সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন থাকতে হবে।
যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় তার দেশ সংকল্পবদ্ধ বলেও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্বাআলো/এস