যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে এমন দাবির পর যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া আগের একটি সতর্কবার্তা নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বুধবার টেলিভিশনে দেয়া তার একটি বক্তব্য পুনরায় টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে।
ওই ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তা হবে তাদের নিজেদের ক্ষতির জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের যেকোনো ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।
মূলত ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান এই তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের কথিত হামলার পরপরই আয়াতুল্লাহ খামেনির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই বক্তব্যটি আবার শেয়ার করা হয়েছে।
ইরানের হামলার পর ট্রাম্পের ভাষণে হুঁশিয়ারি
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।
প্রসঙ্গত ১৩ জুন দিবাগত রাতে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানে হামলা শুরু করে। এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকা লক্ষ্যবস্তু হয়। হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ এবং ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৪০০ জনের বেশি নিহত হন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অনেককে আনন্দিত করেছে: খামেনি
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা জবাব হিসেবে গত শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এতে হতাহতের সংখ্যা কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের হামলার ভয়ে বহু ইসরায়েলি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।
স্বাআলো/এস